Loading...

ব্লাশ অ্যাপ্লাইয়ের ডু’স অ্যান্ড ডোন্ট’স | শিখে নিন মেকআপের রাইট টেকনিক

গুলার মেকআপ হোক কিংবা পার্টি মেকআপ- গালে একটু ব্লাশ অ্যাপ্লাই না করলে মেকআপ লুক কমপ্লিট হয় কি? না! তবে অনেকেই আছেন যারা ঠিকমতো ব্লাশ অ্যাপ্লাই করতে পারেন না। দেখা যায়, তারা কখনও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে ফেলেন, অথবা এমনভাবে অ্যাপ্লাই করেন যে তাদের ফেইসে ব্লাশের অস্তিত্বই বোঝা যায় না। অথচ প্রোপারলি অ্যাপ্লাই করলে এই একটা প্রোডাক্টই পারে আপনার পুরো মেকআপ লুকটাকে আরও বেশি এলিগেন্ট করে তুলতে। তাই আজকের এই ফিচারে থাকছে ব্লাশ অ্যাপ্লাইয়ের ডু’স অ্যান্ড ডোন্ট’স সম্পর্কে বিস্তারিত।

ব্লাশ অ্যাপ্লাইয়ের ডু’স অ্যান্ড ডোন্ট’স

ডু’স

১) প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ফর্মুলার ব্লাশ সিলেক্ট করুন

মার্কেটে মূলত দুই ধরনের ব্লাশ অ্যাভেইলেবল। যেগুলো হলো পাউডার ব্লাশ ও ক্রিম ব্লাশ। অনেক সময় লিকুইড ব্লাশও কিনতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে নিজের প্রিফারেন্স ও অকেশন বুঝে ব্লাশ সিলেক্ট করুন। যেমন- আপনি যদি ন্যাচারাল মেকআপ পছন্দ করেন কিংবা রেগুলার Makeup লুকের জন্য ব্লাশ খোঁজেন, তাহলে ক্রিম ব্লাশ বেছে নিতে পারেন। কারণ ক্রিমি ফর্মুলা হওয়ার কারণে এই ব্লাশ অ্যাপ্লাই করলে সেটা স্কিনের সাথে এমনভাবে ব্লেন্ড হয়, যাতে গাল দু’টো দেখলে মনে হয় তা ন্যাচারালিই এমন!

ব্লাশ অ্যাপ্লাইয়ের ডু’স অ্যান্ড ডোন্ট’স

অন্যদিকে যদি পার্টি মেকআপ করতে চান অথবা গালে একটু পপ অফ কালার দেখতে চান, তাহলে পাউডার ব্লাশ বেছে নিন। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো, পাউডার ব্লাশে নিজের সুবিধামতো ব্লাশের পরিমাণ বাড়ানো ও কমানোর সুযোগ আছে বলে এই ব্লাশ দিয়ে ও পার্টি মেকআপ দু’টোই করা যায় ইজিলি। এখন যদি জিজ্ঞেস করেন যে কোন ব্লাশটা ইউজ করবো, তাহলে আমি বলবো এখানে নিজের ইচ্ছা ও প্রয়োজনকেই প্রাধান্য দিন। কারণ যে ব্লাশই ইউজ করুন না কেন, সবক্ষেত্রে কিন্তু অ্যাপ্লিকেশনটাই আসল।

২) স্কিনটোন বুঝে ব্লাশ শেইড চুজ করুন 

ব্লাশ কেনার সময় আমরা অনেকেই একটা বিষয় বুঝতে পারি না, সেটা হলো কোন শেইডের ব্লাশ আমাকে মানাবে! সব স্কিনটোনে কিন্তু সবরকম ব্লাশ মোটেও স্যুট করে না। যেমন- আপনি যদি ফেয়ার স্কিনটোনের হয়ে থাকেন এবং ডার্ক পিংক কালারের ব্ল্যাশ অ্যাপ্লাই করতে যান, তাহলে গাল অতিরিক্ত গোলাপি দেখাবে। আবার মিডিয়াম টু ডিপ স্কিনটোনে লাইট কোরাল কালারের ব্লাশ তেমন স্যুট করে না। তাই নিজের স্কিনটোন বুঝে ব্লাশ পারচেজ করুন।

যাদের স্কিনটোন ফেয়ার তারা কোরাল, বেবি পিংক, রোজ, লাইট প্লাম, অরেঞ্জ ইত্যাদি কালারের ব্লাশ বেছে নিন। অন্যদিকে মিডিয়াম টু ডিপ স্কিনটোনে ডার্ক মভ, ডার্ক পিংক, বাবলগাম পিংক, ট্যারাকোটা, অ্যাপ্রিকট কিংবা বেরি কালারের ব্লাশ খুব সুন্দর স্যুট করে৷

মেকআপ

৩) সঠিক ব্রাশ দিয়ে পাউডার ব্লাশ অ্যাপ্লাই করুন

অনেকে রয়েছেন যারা হাতের কাছে থাকা যেকোনো Makeup Brash দিয়ে পাউডার ব্লাশ অ্যাপ্লাই করতে যান! এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্লাশ ফেইসে অ্যাপ্লাই হয়ে যায়। এটা যেন না হয় সেজন্য একটা ভালো ব্লাশ ব্রাশ পারচেজ করুন। ব্লাশ অ্যাপ্লাইয়ের ব্রাশের ব্রিসলস যাতে এনাফ সফট হয়। এতে ব্লাশ ব্লেন্ড করতে বেশ সুবিধা হয়।

৪) ফেইস শেইপ বুঝে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করুন

সবসময় নিজের ফেইস শেইপ বুঝে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করার ট্রাই করুন। যেমন- যদি আপনার ফেইস শেইপ রাউন্ড হয়, তাহলে ব্লাশ অ্যাপ্লাইয়ের সময় গালের মাঝখান যেটাকে ‘অ্যাপল’ বলা হয় সেখান থেকে শুরু করতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে উপরের দিকে ব্লেন্ড করতে হবে। আবার যদি হার্ট শেইপের ফেইস হয়, তাহলে চিকবোন থেকে অ্যাপ্লাই স্টার্ট করে টেম্পল পর্যন্ত আপওয়ার্ড মোশনে ব্লেন্ড করতে হবে।

অন্যদিকে যদি ফেইস শেইপ চারকোণা হয়, তাহলে ব্লাশ অ্যাপ্লাই স্টার্ট করতে হবে চিকবোনের সাইড থেকে। তারপর চিকবোন থেকে শুরু করে টেম্পল পর্যন্ত আপওয়ার্ড মোশনে ব্লেন্ড করে আইব্রোর আর্চ পর্যন্ত নিতে হবে। এভাবে শেইপ বুঝে ব্লাশ দেয়ার পর ফেইসটা দেখতে আরও লিফটেড মনে হয় এবং পুরো মেকআপ লুক দেখতে ফ্ললেস লাগে।

You May Also Like

Get 50% Discount.

Lorem, ipsum dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Exercitationem, facere nesciunt doloremque nobis debitis sint?